মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের জোবায়ের মনিরের জামিন বাতিল করেছেন ট্রাইব্যুনাল। জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় রোববার চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার জামিন বাতিল করে এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালে জামিন বাতিলের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।
গত ৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামিন বাতিলের আবেদন করা হয় বলে জানান প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।
জামিন বাতিলের আবেদনে বলা হয়, আসামি জোবায়ের মনিরকে ঢাকার বাসায় থাকার শর্তে জামিন দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু সে শর্ত তিনি ভঙ্গ করে নিজ এলাকায় গিয়ে দলবল নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। সাক্ষীদের ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন। এ কারণে তার জামিন বাতিল চাওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি লিখিত অভিযোগ দেন পেরুয়া গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা রজনী দাস। এরপর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এই গণহত্যার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে।
এক পর্যায়ে এই গণহত্যায় যুক্ত থাকা ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর জোবায়ের মনির, জাকির হোসেন, তোতা মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান, আবদুল জলিল, আবদুর রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৯ সালের ১৭ জুন রজনী দাসের করা মামলায় জোবায়ের মনিরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুর হোসেন।
তবে জোবায়ের মনির অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা শহরে নিজ বাসায় অবস্থান করবেন, শহর ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না’- এই শর্তে ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন পান। কিন্তু তিনি জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে ঈদের আগের দিন গ্রামের বাড়িতে যান। লোকজনকে নিয়ে নৌকা ও স্পিডবোটে করে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর তার জামিন বাতিল চেয়ে আবেদনের করে প্রসিকিউশন।
Leave a Reply